আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের এক হিন্দু নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানে। গত কয়েকদিন ধরেই এই ইস্যু উঠে এসেছে শিরোনামে। পাকিস্তানে দুই হিন্দু নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। এবার একই ঘটনা পাকিস্তানের সিন্ধে।
জানা গিয়েছে সিন্ধ প্রদেশের বাদিন জেলা থেকে ১৬ বছরের ওই হিন্দু নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন ওই মহিলার বাবা। যদিও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিন আগেই এই ঘটনা ঘটে পাকিস্তানে।
গত ২০ মার্চ হোলির দিন সিন্ধু প্রদেশের দহরকি নগরের হাফিজ় সলমন গ্রামের বাসিন্দা ১৩ বছরে রবিনা ও ১৫ বছরে রীনাকে অপহরণ করে বেশ কিছু দুষ্কৃতী। এর পর তাদের ইসলামে ধর্মান্তিরত করা হয়। এমনকি জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচারে সরব হন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রিপোর্ট তলব করেন পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশনারের কাছ থেকে।
এরপরই নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান সরকার।
পঞ্জাব প্রদেশের সরকারকে পাকিস্তানে ২ সংখ্যালঘু হিন্দু নাবালিকার নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ওই ২ নাবালিকাকে অপহণ এবং ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সোমবার ৭ জনকে গ্রেফতার করে পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ। রবিবারও সিন্ধুপ্রদেশের খানপুর থেকে এক মৌলবিকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ওই মৌলবিই ২ কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
মতিহার বার্তা ডট কম ২৭ মার্চ ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.